আজ সোমবার, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Important Notice: Dear Munna Khan, kindly settle Invoice #CIT-246357 ASAP. For any inquiries, feel free to contact us. Thank you! www.contriverit.com

জয় বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে :অধ্যাপক ড.আবু সাইয়িদ

জয় বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে

জয় বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে

নবকুমার:

সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সুশীল সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের বক্তৃতা শেষে জয় বাংলা বলতে বাধ্যতামূল নিয়ম করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন কারী ড.অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

রবিবার ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেছেন, সরকারি আমলারা এবং সুশীল সমাজের নেতারা বক্তৃতা শেষ করে জয় বাংলা কেন বলেন না?তারা জিন্দাবাদ বলেন।জয় বাংলা না থাকলে বাঙালি জাতি বেশি দিন টিকে থাকবে না।জয় বাংলা স্বাধীনতার শ্লোগান বাঙালি সাংস্কৃতির অংশ।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা  ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানী ভাবধারায় রেড়িও বাংলাদেশ করে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করলে আমি তা ১০ মিনিটের মধ্যে সংশোধন করি।

আবু সাইয়িদ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে  মেতে উঠছে।তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের প্রদেশ বানাবে।তরুণ প্রজন্ম সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে হবে।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন,ঘাতকরা সে দিন বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তানকে হত্যা করে। না খেয়ে রেখে তার মাকে হত্যা করে ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুর রহমান বলেন,বাঙালি জাতিকে নিচিহ্ন করার জন্য দানবের মত সে দিন পাকিস্থানী হায়েনার দল গণহত্যায় মেতে ওঠে।সফিকুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম,স.আরেফিন সিদ্দিক বলেন,পৃথিবীর  ইতিহাসের জঘন্য তম গণহত্যা কান্ড হলো  ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত।  মাত্র ১০ মিনিটে তিন হাজার লোককে হত্যার করে পাকিস্তানী জান্তারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হায়েনার দল প্রথম আক্রমণ শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং শেষ করে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারা দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরাফাত বলেন,পাকিস্তানের হায়েনার দল দার্শনিকগত কারণে বাঙালিদের গণহত্যা করে।রিক্সাচালক ,দিন মুজুরকে তারা হত্যা করে ।কি ছিলো তাদের অপরাধ।জয় বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে

ড.অধ্যাপক আওয়াল বলেন,দানবেরা সে দিন যে ভাবে নিরস্ত্র বাঙালির উপর গণহত্যা চালিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ লোককে হত্যা করা হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশে ঘটে নি। এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমান্ডার শাহজাহান মৃধা বেনু,নাজমুল হক,কাফি সরকার, বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রমজান আলী,সাংগাঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু,প্রফেসর আবু সাইদসহ বেড়া-সাথিয়া আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগের বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ।